Click here to subscribe: https://bit.ly/34sKcg7
Follow at Facebook: https://www.facebook.com/Infotalk-BD-101128735097838
#Sylhet_Airport
#Osmani_International_Airport
#Bangladesh
অবশেষে সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়েছে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ২০২০, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রসারণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নামে বিমানবন্দরটির নাম রাখা হয়। আগে এর নাম ছিল সিলেট বিমানবন্দর।
নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বিমানবন্দরটি এবার পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে যাচ্ছে। বিমানবন্দরটি সম্প্রসারণে খরচ হবে দুই হাজার ৩০৯ কোটি টাকা।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটির প্রথম ধাপের কাজ শেষ হলে বিমানবন্দরটির আয়তন বাড়বে তিন গুণ । বর্তমান টার্মিনালে বছরে মোট ছয় লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যায়। নতুন টার্মিনালের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ২০৪০ সাল পর্যন্ত বছরে ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যাবে।
চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হবে ৩৪ হাজার ৯১৯ বর্গমিটারের আধুনিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন। এই টার্মিনালে আটটি বিমান একসঙ্গে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে। এর বাইরে থাকছে,
ছয় হাজার ৮৯২ বর্গমিটারের কার্গো ভবন
দুই হাজার ৪১৫ বর্গমিটারের ফায়ার স্টেশন
দুই হাজার ৭৭২ বর্গমিটারের কন্ট্রোল টাওয়ার
এক হাজার ৩৯৫ বর্গমিটারের প্রশাসনিক ভবন
৬০৬ বর্গমিটারের মেইনটেন্যান্স ভবন
দুই হাজার ৫২৪ বর্গমিটারের ইউটিলিটি ভবন
৯ হাজার ২৯৯ বর্গমিটারের আবাসিক ভবন
এগুলো ছাড়াও আরো সুপরিসর ছয়টি উড়োজাহাজ পার্কিং উপযোগী ৭১ হাজার ৭৪৩ বর্গমিটার এপ্রোন নির্মাণ, এপ্রোনের সংযোগকারী ট্যাক্সিওয়ে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রসহ ফুয়েল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড হাইড্রেন্ট সিস্টেম থাকবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বেইজিং আরবান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ। দেশের সব বিমানবন্দরের অভিভাবক সংস্থা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই এই প্রকল্পটির সার্বিক কাজ তত্ত্বাবধান করছে সংস্থাটি।
বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, আন্তর্জাতিকমানের যাত্রীসেবা প্রদানের জন্য ভবনে থাকবে ছয়টি বোর্ডিং ব্রিজ। থাকবে কনভেয়ার বেল্টসহ ৩৬টি চেক-ইন-কাউন্টার। যার মধ্যে দুটি স্বয়ংক্রিয়। বহির্গামী ও আগমনী যাত্রীদের জন্য মোট ২৪টি পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার, ছয়টি এস্কেলেটর, ৯টি লিফট এবং আগমনী যাত্রীদের জন্য তিনটি লাগেজ কনভেয়ার বেল্ট, ভবনের ফ্লোরে বসবে ইঞ্জিনিয়ারড স্টোন। নতুন টার্মিনালের প্রথম তলা আগমনী যাত্রীদের এবং দ্বিতীয় তলা বহির্গামী যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত হবে।
শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে আগত যাত্রীরা টার্মিনালের চেক-ইন লেভেলে সহজে পৌঁছোতে পারবেন। আবার বিদেশ থেকে আগত যাত্রীরা প্রথম তলা থেকে বিমানবন্দর ত্যাগ করে সারফেস রোড ব্যবহার করে শহরের যেকোনো প্রান্তে যেতে পারবেন। টার্মিনাল অভিমুখী বা বহির্মুখী সব যানবাহন চলাচল হবে একমুখী, যা বিমানবন্দর অংশকে সম্পূর্ণ যানজটমুক্ত রাখবে।
অভ্যন্তরীণ রুট তো বটেই, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্য ও দুবাইসহ বিভিন্ন দেশের সাথে সরাসরি বিমান চলাচল করে। সম্প্রসারণ কাজ শেষে বিমানবন্দরটির সক্ষমতা বাড়লে, এখান থেকে আরো সম্প্রসারিত হবে আন্তর্জাতিক আকাশপথ। সময় মতো প্রকল্পের কাজ শেষ হোক, এখন শুধু এটাই প্রত্যাশা।