মানুষের জীবনে যৌবন আসে অফুরন্ত শক্তি-সামর্থ ও প্রাণ-চাঞ্চল্যের বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে।তবে, তা নির্ভর করে যৌবনের যথাযথ বিকাশের উপর।কোন কারণে যদি এই বিকাশ ব্যাহত হয়, তাহলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বিপুল সম্ভাবনা, বঞ্চিত হতে হয় জীবনের অফুরন্ত সুখ ও আনন্দ থেকে। যৌবন আসে অনেকটা যোয়ারের মত করে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে, প্রাকৃতিক নিয়মে।বলা যায়, যৌবনের মত মহামূল্যবান সম্পদটি মানুষ লাভ করে একেবারেই অনায়াসে।আর এই অনায়াসে লাভ করার কারণেই এর সঠিক মূল্যায়ন করতে, এর প্রতি সুবিচার করতে এবং এর সঠিক যত্ন নিতে আমরা ব্যর্থ হই। কিন্তু এই অবহেলা আর বেখেয়ালের খেসারত আমাদের দিতে হয় কড়ায় গন্ডায়।কারণ, যৌবন যেমন যোয়ারের মত আসে, তেমনি আবার ভাটার টানে চলেও যায়।কথায় আছে, মানুষ দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝে না।যখন দাঁত পড়ে যায়, তখন তার জন্য আফসোস করে। সবকিছুরই যত্নের প্রয়োজন রয়েছে।নিশ্চয়ই যত্ন এবং অযত্নের ফল কখনো এক রকম হতে পারে না।
যৌবনকে বলা যায় জীবনকে গঠন করার শ্রেষ্ঠ সময়।এই সময়ের সামান্য সচেতনতা এবং যত্ন জীবনকে করে তোলা যায় মূল্যবান এবং উপভোগ্য।আর এই সময়ের সামান্য ভূল হতে পারে সারা জীবনের জন্য অনুশোচনা আর গ্লানি বয়ে বেড়ানোর কারণ। এ কারণেই জ্ঞানি লোকেরা বলেন, ‘তুমি যৌবনের যত্ন নিলে বার্ধক্যে যৌবন তোমার যত্ন নিবে।’