* ইউরোপের দেশ মালটা টুরিস্ট ভিসা বাংলাদেশ থেকে কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন,
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সেনজেন খুবই সৌন্দর্যমন্ডিতে একটি দেশ মাল্টা, ইতালির পার্শ্ববর্তী দেশ মাল্টা সাগরের মাঝখানে একটি দ্বীপে অবস্থিত,প্রতিবছর সারা পৃথিবী থেকে লাখো পর্যটক এই দেশে ভ্রমণ করে থাকেন,ঠিক একইভাবে বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক দেশে ভ্রমণ করে থাকেন,আমাদের বাংলাদেশী অনেক নাগরিকরা এখন পর্যন্ত জানেন না যে মাল্টা টুরিস্ট ভিসা বাংলাদেশ থেকে কিভাবে আবেদন করা হয় কেননা মালটা এমব্যাসি বাংলাদেশে নেই,
* আসুন আমরা জেনে নেই বাংলাদেশী নাগরিকরা ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন বাংলাদেশ থেকে,
মালটার পার্শ্ববর্তী দেশ প্রতিবেশী দেশ ইটালি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অথবা সেনজেন একটি দেশ,এবং এই ইটালি এমবাসি অথবা ইটালি দূতাবাস বাংলাদেশ ঢাকায় অবস্থিত আছে, আপনি যদি মালটা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশে ঢাকায় অবস্থিত ইটালি এমবাসি থেকে ভিসার আবেদন করতে হবে,কারণ ইটালি এম্বাসি মালটা এম্বাসি কে রিপ্রেজেন্ট করে বাংলাদেশ থেকে,সুতরাং মালটা টুরিস্ট ভিসার কার্যক্রম ইটালি এম্বাসি সবসময় করে আসছেন বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য,
বাংলাদেশে ঢাকায় অবস্থিত ইতালি এম্বাসির ঠিকানা
মালটা এমব্যাসি
ঢাকায় অবস্থিত মালটা এম্বাসি
একটা কথা মনে রাখতে হবে সেটা হচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিকরা শুধু মাল্টা টুরিস্ট ভিসার (C) category জন্য বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে পারবে ইটালি এমবাসির মাধ্যমে,অন্যথা আপনাকে লং টার্ম অথবা (D) category অথবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য ইন্ডিয়া নয়া দিল্লিতে মালটা এম্বাসি থেকে আবেদন করতে হবে সরাসরি,
* ভারতে নয়া দিল্লিতে মালটা এমব্যাসির ঠিকানা
ইন্ডিয়া অবস্থিত মালট্রা এম্বাসি
ইন্ডিয়া নয়া দিল্লিতে মালটা এমবাসি
* বাংলাদেশ থেকে মালটা টুরিস্ট ভিসা আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে,
(1) আপনার অরিজিনাল পাসপোর্ট কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ থাকতে হবে,
(2) ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম সম্পূর্ণ ফিলাপ করে নিতে হবে,
(3) এক কপি ছবি ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে,
(4) NOC,
(1)আপনি যদি কোন কোম্পানি অথবা সরকারি চাকরিজীবী হন তাহলে আপনার অফিস থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে হবে,
(2) আর যদি আপনি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ইউনিভার্সিটির অথবা কলেজ থেকে নিতে হবে,
(3) অথবা আপনি যদি ব্যবসা করেন তাহলে আপনার ব্যবসায়িক লাইসেন্স নোটারি কপি এবং আপনার ভিজিটিং কার্ড সাথে করে নিতে হবে,
(5) ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট সাথে ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট,
(6) ITR আপনার বিগত তিন বছরের ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন সাথে টিন সার্টিফিকেট,
(7) ট্রাভেল ইন্সুরেন্স
(8) হোটেল কনফার্মেশন পেপার বুকিং আপনি যতদিন ওই দেশে থাকবেন,
(9) বিমানের টিকেট যাওয়া এবং আশা দুটোই,
(10) কভার লেটার অর্থাৎ আপনি সেই দেশে কবে যাচ্ছেন এবং আপনার ব্যক্তিগত জীবনে কি করছেন এবং সেই দেশ থেকে কবে ফেরত আসবেন এই সব কিছু লিখিতভাবে বর্ণনা করে দিতে হবে,
(11) Travel itinerary অর্থাৎ আপনি সেই দেশে গিয়ে কোথায় থাকবেন কোন হোটেলে থাকবেন কতদিন থাকবেন কোন বিমানে যাবেন এবং ওই দেশে কোন কোন জায়গায় ভ্রমণ করবেন আবার কত তারিখে ফেরত আসবেন কোন এয়ারপোর্ট দিয়ে সবকিছু লিখিতভাবে বর্ণনা করতে হবে,
* ভিসা ফি 80 ইউরো,
* 6 থেকে 12 বছরের ভিতরে যাদের বয়স তাদের জন্য 40 ইউরো,
এই সবগুলো ডকুমেন্টস একসাথে করে ফাইল বানিয়ে আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট অ্যাম্বাসিতে ভিসার জন্য জমা দিতে হবে,
১৫ থেকে ২০ কার্য দিবসের ভিতরে আপনার ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শেষ হয়ে যাবে,তারপর এম্বাসি থেকে আপনাকে ফোনের মাধ্যমে অথবা ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে পাসপোর্ট কালেকশন করার জন্