লাভজনক উপায়ে লোনা ট্যাংরা চাষ পদ্ধতি (Culture Methods of Lona Tangra)
ইউটিউবে হাজারো ভূল তথ্য প্রচারণার মধ্যে সঠিক তথ্য প্রচারে অঙ্গিকারা বদ্ধ
#lona_tangra #লোনাট্যাংরা_চাষ #লোনাট্যাংরা_চাষপদ্ধতি#lona_tangra #লোণা_ট্যাংরা_চাষ
★★★ সু-প্রিয় দর্শক ভিডিওটি আপানার ভাল লাগলে অনুগ্রহ করে লাইক দিবেন ★★★ সু-প্রিয় দর্শক আশা করি ভিডিওটিতে একটি লাইক দিবেন, কমেন্টে জানাবেন আপনার মূল্যবান মতামত যা আমাদেরকে নতুন নতুন ভিডিও আপলোড করতে উৎসাহিত করবে। ★★★ নিয়মিত মাছচাষ বিষয়ক তথ্য পেতে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল আইকোনটিকে ক্লিক করুন যাতে আমাদের আপলোডকৃত ভিডিওর বিষয়ে নোঠিশ পেতে পারেন। ★★★ চ্যানেলের সাথে যারা যুক্ত হয়েছেন, সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ★★★ উপস্থাপিত তথ্য আপনার মাছচাষে কিঞ্চিত ইতি বাচক ভূমিকা রাখলে আমাদের প্রচেষ্টা সর্থক হবে।
My FB Page : https://www.facebook.com/tofazahamed64
এচ্যাণেলে ৮০ টির অধিক মাছচাষের বিভিন্ন প্রযুক্তির উপর ভিডিও আছে প্লেলিস্টে গিয়ে পছন্দমত ভিডিও দেখতে পারেন। চ্যানেলের যে কোন ভিডিও দেখতে এ লিং এ ক্লিক করুন
https://www.youtube.com/c/AABD64/play...
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, উপকূলীয় অঞ্চলের মাছের মধ্যে নোনা ট্যাংরা (Mystus gulio) অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এক সময় উপকূলীয় প্রাকৃতিক জলাশয়ে এই মাছ প্রচুর পাওয়া গেলেও নির্বিচারে আহরণ ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে এর প্রাকৃতিক প্রাপ্যতা হ্রাস পাচ্ছে। এতে মাছটির দাম বেড়ে গেছে।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের খুলনার পাইকগাছা এলাকার লোনাপানি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্র প্রধান ড. মো. লতিফুল ইসলাম জানান, ২০১০ সালের দিকে এই কেন্দ্র নোনা ট্যাংরা মাছের ব্রিড প্রতিপালন, কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কলাকৌশল উদ্ভাবনে সফলতা অর্জন করে। এই গবেষণায় জাতীয় পুরস্কারও অর্জিত হয়।
যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, হ্যাচারিতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে নোনা ট্যাংরার পোনা উৎপাদন খুবই ভালো পদক্ষেপ। একইভাবে পাবদা ও গুলশা মাছেরও পোনা উৎপাদন সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
নোনা ট্যাংরার জন্য ‘সিবা’র বিজ্ঞানীরাই নির্দিষ্ট খাবার তৈরি করছেন। ‘সিবা’র দুই বিজ্ঞানী দেবাশিস দে এবং গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, ‘‘পুকুরের প্রাকৃতিক খাবার খেয়েই বড় হয়ে ওঠে এই প্রজাতির ট্যাংরা। কিন্তু তার বাইরেও সংস্থার তৈরি খাবার প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাতে মাছগুলি আরও বড় হয়েছে।’’ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অল্প প্রোটিনযুক্ত খাবার এই মাছের জন্য উপযুক্ত। ৩০ টাকা খরচ করলেই নোনা ট্যাংরার জন্য এক কেজি প্রোটিনযুক্ত খাবার তৈরি করা সম্ভব। তাঁদের দাবি, এই চাষে চিংড়ি চাষের চেয়ে ঝুঁকি কম।
গবেষণা থেকে পাওয়া ফলাফল মৎস্যচাষীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকজন মৎস্যজীবীকে বিজ্ঞানীরা ডেকেছিলেন। প্রাকৃতিক প্রজননের নোনা ট্যাংরা চাষ করে তাঁরা কী কী সমস্যায় পড়েছেন তার খতিয়ান নেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে মৎস্যচাষীদের বোঝানো হয়, কৃত্রিম প্রজনন থেকে উৎপন্ন চারা দিয়ে চাষ করলে তাতে লাভ থাকবে। তাই আপাতত প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মউ সাক্ষর করেই এই চাষ করাতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা। বড় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগেও ট্যাংরা চারা উৎপাদনের প্রস্তাবও দিয়েছেন তাঁরা।
নামখানার মদনগঞ্জের মৎস্যজীবী দেবকীনন্দন পাত্র দীর্ঘদিন মাছ চাষ করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি চারা একটু দেরিতে বড় হয়। তাছাড়া সব সময় একই আকারের হয় না।’’ ‘সিবা’র প্রকল্পে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারায় সেই সমস্যা থাকছে না বলেই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।