MENU

Fun & Interesting

RAMESWAR MANDIR || TAPOBAN VALMIKI ASHRAM || GOPIBALLAVPUR GOVINDA MANDIR | Jhargram Tour Video 2022

Pranab Traveller's 2,158 3 years ago
Video Not Working? Fix It Now

|| নবদ্বীপ ধাম ও মায়াপুর শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর গৌড়ীয় মঠের প্রভুদের গাইড করে দর্শণ করালাম... ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত রামেশ্বর পঞ্চ শিব মন্দির, তপোবন বাল্মিকী আশ্রম ও গোপীবল্লভপুর রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দির।। শুরুর প্রথমেই বলে রাখি, আজকের ভিডিও একটু অন্য ধরনের। কারণ প্রতি ভিডিও তে আমি বিভিন্ন স্থান ঘুরি আর আপনাদের সামনে সেই সমস্ত স্থান গুলো তুলে ধরি... কিন্তু এবার আমি নিজে গাইড করে দর্শণ করালাম নবদ্বীপ ধাম ও মায়াপুর শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর গৌড়ীয় মঠের বৈষ্ণব প্রভুদের। গত মাসেই হঠাৎ পরিচয় ঐ স্থানের শ্রী ভক্তি জীবন সাধু মহারাজের সাথে। আমি গত বছর ইউ টিউব ভিডিও বানিয়েছিলাম তপোবন বাল্মিকী আশ্রমের, আর সেই ভিডিও দেখেছিলেন মহারাজ জী। তারপরই সরাসরি যোগাযোগ করেন আমার সাথে। বলেন মায়াপুর গৌড়ীয় মঠের বৈষ্ণব ভক্তদের তপোবন ঘুরিয়ে দিতে। সেই মতই সাথে সাথ রাজি হয়ে যাই জঙ্গলমহলের অন্তর্গত অফবিট বেশ কিছু তীর্থ স্থান দর্শণ করাতে। তাঁরা প্রথম দিন এসেছিলেন বিষ্ণুপুর মন্দির দর্শনে। পর দিন বিষ্ণুপুর থেকে ভোর ভোর বেরিয়ে মেদিনীপুর, খড়্গপুর, লোধাশুলি, রগড়া হয়ে চলে আসেন সুবর্ণরেখা নদীর তীরে গড়ধরাতে। আমি ছেলে আরিয়ান কে নিয়ে আগে ভাগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমার সাথে দেখা হয় প্রথম ঐ স্থানেই ভক্তি জীবন সাধু মহারাজ ও তীর্থে আসা প্রভুদের সাথে। বাসটি ছিল বেশ বড়সড়। ভাবছিলাম সমস্ত স্হানে ঠিক ঠাক মতো নিয়ে যেতে পারবো তো... ছেলের সাথে উঠে পড়লাম বাসের সামনের কেবিনে। বসে পড়লাম ড্রায়ভারের পাশেই। কারণ ঠিক ঠাক গাইড করে সমস্ত স্থান দর্শণ করাতে হবে যে। বাসে প্রায় ৬০ জনের মতো বৈষ্ণব প্রভু ও মাতৃ মণ্ডলীরা ছিলেন। বাস নিয়ে ঢুকে পড়লাম সুবর্ণরেখা নদীতে। এখন বেশি জল নেই, তাই ফেয়ার ওয়েদার পারাপারের জন্য কাঠের সেতু রয়েছে। ওপারে পেরোতেই দেউলবাড় ঘাট। বাসের টোল কেটে ২০০ মিটারের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম রামেশ্বর মন্দিরের ঠিক কাছেই। সবাই বাস থেকে নেমে এগিয়ে চললাম রামেশ্বর পঞ্চ শিব মন্দিরে। বিশালাকায় মন্দিরটি বহু প্রাচীন। মন্দিরটি ওড়িষী শৈলীতে গঠিত। লোক মুখে জানা যায় শ্রী রামচন্দ্র, ভ্রাতা লক্ষণ ও সীতা মাতা বনবাসে থাকা কালীন বেশ কিছু দিন এই স্থানে কাটিয়েছিলেন। সেই সময় এই স্থানেই পঞ্চ শিব স্থাপন করেছিলেন। সেই মতো শ্রীরামচন্দ্রের নামানুসারেই মন্দিরটির নাম হয় রামেশ্বর মন্দির। সমস্ত ভক্ত দর্শন ও পূজো দেন। তারপরই আবারো বাসে বেরিয়ে পড়ি তপোবন বাল্মিকী আশ্রমের দর্শনে। রামেশ্বর মন্দিরের কাছেই বামদিকের সরু রাস্তা দিয়ে বিরিবেড়িয়া গ্রাম পেরিয়েই ঢুকে পড়ি তপোবন জঙ্গলে। সরু লাল মোরাম রাস্তার দুদিকেই শাল, মহুয়া, কেন্দু গাছের সমাহার। এক দিকে রয়েছে বুনো হাতি 🐘 আটকানোর জন্য কারেন্টের লাইন। রয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার। কিছু বাদেই পৌঁছে গেলাম তপোবন বাল্মিকী আশ্রমের ঠিক কাছেই। বাস থেকে সবাই জিনিসপত্র নামাতে লাগলেন মহারাজজীর নির্দেশ মতো। কারণ এই তপোবন বাল্মীকি আশ্রমের কাছেই হবে নিরামীষ বনভোজন। ঢোকার মুহুর্তেই রয়েছে ছোট্ট একটি পুল। তার নিচদিয়ে বয়ে গেছে সীতা নালা। সমস্ত ভক্তেরা কীর্তন গান সহযোগে এগিয়ে চল্লেন বাল্মিকী মুনীর আশ্রমের দিকে। অনেক টা ধকল ও দুপুর হয়ে যাওয়াতে রান্নার আয়োজন তাড়াতাড়ি করা হয়। কিছু বাদেই নিরামীষ অন্নপ্রসাদ সেবন করে তপোবন জঙ্গল দর্শণে বেরিয়ে পড়ি সবাইকে নিয়ে। সরু জঙ্গল রাস্তা ধরে পৌঁছে গেলাম সবাই তীলক মাটির ঢিবির কাছে। কাছেই সীতা নালা। এখানেই সীতা মাতা স্নান করতেন। অনেকেই তিলক মাটি নিয়ে গেলেন। জঙ্গলের মধ্যেই রয়েছে প্রচুর বুনো হাতি 🐘, হরিণ 🦌, শযারু, খরগোশ, অজগর, টিয়া 🦜, বিভিন্ন ধরনের পাখি 🐦। রয়েছে লব কুষের স্নানের স্থান। সীতা লব-কুষকে হলুদ তেল মাখিয়ে স্নান করিয়েছেন। এখনো হলুদ জল, কাজল জল বেরোয়। বৈষ্ণব ভক্তেরা পাট কীর্তন গান শুরু করলেন। কাছেই রয়েছে বাল্মিকী মুনীর সমাধী স্থল, সীতা কুটির, সীতা মাতার আঁতুড়ঘর, লব কুষের জন্মের সময় এখানের কুণ্ডের আঁগুনের সেঁক দিয়ে গরম করিয়েছিলেন সীতা মাতা। কিছু দূরেই রয়েছে ছোট্ট একটি ড্যাম। এখানে সুন্দর পিকনিক হয়ে থাকে শীতের সময়। বাইরের থেকে বহু দর্শণার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে প্রতিদিন। আশেপাশের রাজ্য ওড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড ছাড়াও কোলকাতা, কাঁথি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার লোকের আনাগোনা লেগেই থাকে। তপোবন বাল্মিকী আশ্রম দর্শন সেরে আমরা বেরিয়ে পড়লাম গোপীবল্লভপুরের উদ্দেশ্যে। তপোবন থেকে মাত্র ২৪ কিঃ মিঃ। গোপীবল্লভপুর ইকো পার্কের কাছেই বাস রেখে কীর্তনগান যোগে বেরিয়ে পড়লাম গোপীবল্লভপুর রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দিরের দিকে। বিশালাকায় প্রাচীন এই রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দির টি। মেলা চলছিল কাছেই। সবাইকে মন্দির দর্শন করানোর পর মেলাটাও ঘুরিয়ে দেখালাম। সবশেষে রাত্রের ভোজন শেষে সবাইকে বাসে উঠিয়ে, ভক্তি জীবন সাধু মহারাজ, সমস্ত প্রভু ও মাতৃমণ্ডলীর কাছে বিদায় নিয়ে আমি বাড়ীর পথে বেরিয়ে পড়লাম। --------------------------------------------------------------------- ঝাড়গ্রাম, সিমলীপাল, বাংরীপোষী, পঞ্চলিঙ্গেশ্বর ভ্রমণের জন্য যোগাযোগ। PRANAB MAHATA Mobile & What's up no.- 9641937200 ---------------------------------------------------------------------- 🙏 আমার Pranab traveller's চ্যানেলের অন্যান্য ভিডিও গুলো দেখার জন্য নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 🙏 https://youtube.com/channel/UC3ZDm_oG6bcY-pUrdKW3LLw তপোবন বাল্মিকী আশ্রমের ভিডিও লিঙ্ক:- https://youtu.be/aPrhsr7pDKI রামেশ্বর মন্দির ভ্রমণের ভিডিও লিঙ্ক:- https://youtu.be/Y2W9pjlAMSI

Comment