সত্যনারায়ণ রূপে শ্রীশ্রীরামঠাকুরঃ
.
আনুমানিক ইং ১৯৪১ সনে কোন একদিন আমার স্বর্গীয় পিতা বলিলেন যে ঠাকুর প্রকাশ করিয়াছেন, "ক্রমশঃ কলির আবির্ভাব কাজেই ঘরে ঘরে সত্যনারায়ণ পূজা করা প্রয়োজন। " আমাদের বাড়ীতে পূর্ব্ব হইতেই সত্যনারায়ণ পূজা ও বার মাসে তেরো পার্ব্বণ প্রচলিত ছিল। সেই সময় হইতে ক্রমশঃ বাড়ী বাড়ী যার যার সামর্থ্য অনুসারে প্রতিদিন, বা মাসে কি বৎসরে একদিন করিয়া সত্যনারায়ণ পূজা আরম্ভ হইল। আমাদের সুবিধার জন্য ঠাকুর সত্যনারায়ণের বড় পাঁচালী কোন কোন জায়গায় সংশোধন করিয়াছিলেন এবং নিজ হাতে একটি সংক্ষিপ্ত আকারে সত্যনারায়ণের পাঁচালী লিখিলেন। পরে উহা ছাপান হইল এবং এরপর হইতে সর্ব্বদা ছোট পাঁচালী পাঠ করা হয় কিন্তু বিশেষ কোন উপলক্ষ্যে বড় পাঁচালী পাঠ করা হইয়া থাকে।
.
বেশ কয়েক বৎসর পরে ঠাকুর শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ রূপে আর এক স্বরূপ প্রকাশ করিলেন। আমাদের উপলব্ধি র জন্য ঠাকুর একবার চৌমুহনী হইতে উপেন্দ্র কুমার সাহার মারফত সত্যনারায়ণ পূজার জন্য কলিকাতার আর্ল ষ্ট্রীট -এ ঁকুঞ্জলাল মজুমদার মহাশয়ের বাড়ীতে ৫টাকা পাঠাইয়া দেন এবং সঙ্গে এক টুকরা কাগজে ঠাকুর লিখিয়াছিলেন,
.
"সত্যনারায়ণ দয়া করিয়া তোমার সিন্নির ৫টাকা গ্রহণ করিবা।
.
ইতি
দয়াময় সত্যনারায়ণ।
..
"তাহলে দেখা যায় কলিজীবের উদ্ধারের জন্য রামঠাকুর একাধারে শ্রীশ্রী কৈবল্যনাথ ও আর একদিকে শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণের স্বরূপ প্রকাশ করিলেন।
.
ঠাকুর একসময় প্রকাশ করিয়াছিলেন, "আমিই ত সত্যনারায়ণ, আমিই ত সত্যনারায়ণ, আমিই ত সত্যনারায়ণ, শত শত ধারাল অস্ত্র নিক্ষেপ করিয়াও আপনাদের কেহই কিছু করিতে পারিবে না।"
.
গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি বিশ্বাস না জন্মিলে, তাঁহার অযাচিত কৃপা উপলব্ধি করা কোনভাবে সম্ভব নয়।
.
"ওঁ নমস্তে বিশ্বরূপায় শঙখচক্রধরায় চ
পদ্মনাভায় দেবায়, হৃষীক- পতয়ে নমঃ।।"
.
[সংগৃহীত তথ্য শ্রী গুরুদয়াল বসুরায়চৌধুরী রচিত, শ্রী গুরুরামকৃপাহিকেবলম গ্রন্থথেকে নেওয়া]