0:00 খনার বচন
2:47 ৫২ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে!
3:44 প্রকৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী ওষুধ
6:10 ভোরে ওঠা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
8:57 বেড়েছে রাত জাগার পরিমাণ
10:55 প্রযুক্তি দানবরা রাত জাগে না!
12:35 রাতের প্যাঁচা, নাকি সকালবেলার পাখি?
14:50 সকালে ভরপেট নাশতা করুন!
16:30 সকালের নাশতা জীবন রক্ষাকারী!
19:11 শৃঙ্খলায় লুকানো সাফল্যরহস্য!
27:16 ধর্মগ্রন্থসমূহে শৃঙ্খলা
29:24 আপনার করণীয়
খনার বচন- "সকাল শোয় সকাল ওঠে, তার কড়ি বৈদ্য না লুটে!"
গত বছর বাংলাদেশের প্রায় ৫২ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে। কারণ আমরা ঘুম থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত করেছি।
আমাদের পিনিয়াল গ্ল্যান্ড থেকে মেলাটোটিন নিঃসরণ হয়। ঘুম আনার জন্যে প্রয়োজনীয় হরমোন এই মেলাটোনিনের একটা সাইকেল থাকে।
যখন আপনি স্ক্রিনের দিকে তাকান এবং নীল আলো চোখে পড়ে তখন মেলাটোনিন প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় এবং ঘুমটা নষ্ট হয়ে যায়। তখন মেলাটোনিনের ঘাটতি আরও বেড়ে যায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। স্তন, গর্ভাশয় এবং প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়, চোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিষণ্নতা বেড়ে যায়।
করোনাকালে রাত্রি জাগরণ আরও বেড়ে গেছে স্মার্টফোনের দৌরাত্ম্যের কারণে।
রাতের ঘুমটা হচ্ছে প্রকৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী ওষুধ। রাতে ঘুমালে আপনার সুস্থতার পরিমাণ বেড়ে যাবে।যে-কারণে আইপ্যাড, স্মার্টফোন যতরকম স্ক্রিন আছে, প্রযুক্তি বিক্রি করে যারা লাভবান হয়েছে, এই প্রযুক্তি দানবরা কিন্তু রাতে জাগে না।
ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী চার ঘণ্টা ঘুমান এবং ভোর সাড়ে চারটায় ওঠেন। ইমেইল চেক করেন। তারপরে জিমে চলে যান। টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি ভোর সাড়ে পাঁচটায় উঠে প্রথম মেডিটেশন করেন। তারপর ছয় মাইল জগিং করেন। এরপরে দিনের কাজ শুরু করেন।
পরীক্ষার জন্যে এক দুইদিন জাগলেন- এটা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু রাত জাগাটা যখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তখন মেলাটোনিন হরমোনের সাইকেল নষ্ট হয়ে যায়। ফলে জ্বর জ্বর ভাব থাকে। ঠান্ডা লাগা, এসিডিটি এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যায়। অনিদ্রা তো আছেই। যার পরিণতি অল্প বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া। বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মধারা- সৃজনশীলতা, প্রাণবন্ততা, কর্মতৎপরতা কমে যায়।
দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে সকালের নাশতা। আমাদের পূর্বপুরুষরা ভাত খেত। এইজন্যেই তারা এত শক্তিমান ছিল। আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি ২০১৯ সালে একটা গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে- সকালের নাশতা জীবন রক্ষাকারী হতে পারে!
আর্সেনাল ক্লাবের খেলোয়াড়দের খাবার সকালবেলা ভাত, সবজি, ডাল। ক্লাবটির যিনি ২২ বছর কোচ ছিলেন, যিনি ক্লাবকে দাঁড় করিয়েছেন, তিনি গবেষণা করে দেখলেন বাঙালি খাবার না খেলে খেলোয়াড়দের স্ট্যামিনা বাড়ে না।
আমাদের কোয়ান্টারা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট চুয়েট মেডিকেলে আছে। তারা সাড়ে ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালবেলা উঠে ফজরের সময় ব্যায়াম করে, ইয়োগা করে, তারপর মেডিটেশন করে। তারপর ভরপেট নাশতা করে, ভাত খায়। তাদের ফিটনেস যে-কোনো স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে অনেক অনেক ভালো।
কবিগুরু সূর্যের কিরণ ওঠার আগে উঠতেন। ধ্যানমগ্ন হতেন। সূর্যের কিরণ তার চেহারার ওপর এসে পড়ত, তখন তিনি ধ্যান থেকে উঠে প্রতিদিনের কাজ শুরু করতেন। যে কারণে তার বইয়ের পরিমাণ এত!
সাইকোলজিস্টরা গবেষণা করেছেন- যার মেধা ও ডিসিপ্লিনের অনুপাত ৯৩:৭ তার জীবনে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম! আর কারো যদি ৯৩% ডিসিপ্লিন এবং ৭% মেধা থাকে তার জীবনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
জোসেফ স্কুলিং, সিঙ্গাপুরে অলিম্পিকে প্রথম স্বর্ণজয়ী সাঁতারু। তার ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল অলিম্পিকে সোনা জিতবে। তার বয়স যখন আট, তার বাবা তাকে বেড়াতে নিয়ে গেছেন। ভোর চারটার সময় উঠে নক করছে বাবার হোটেল রুমে। বাবা! আমাকে সুইমিং পুলে নিয়ে চলো। আমাকে প্র্যাকটিস করতে হবে! তার আইডল ছিলেন মাইকেল ফেলপস। ফেলপসকে এক সেকেন্ডের ব্যবধানে হারিয়েছেন!
ভারতের রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের অসাধারণ সুশৃঙ্খল জীবন। সেজন্যে তিনি জেলের ছেলে হয়েও লেখাপড়া শিখে এত বড় হতে পেরেছেন।
আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাথির মুহাম্মদ। টাইম ম্যাগাজিন তার পাঁচদিনের অফিস সময় রেকর্ড করেছে। একদিন সকাল ৭টা ৫৭ মিনিট, একদিন সকাল ৭টা ৫৬ মিনিট, আরেকদিন সকাল ৭টা ৫৭ মিনিট, আরেকদিন সকাল ৭টা ৫৯ মিনিট, আরেকদিন সকাল ৭টা ৫৭ মিনিট।
নবীজী (স) বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্যে সকালকে বরকতময় করে দাও’।
বাইবেলে আছে, আরেকটু ঘুম আরেকটু তন্দ্রা বিছানায় আরেকটু গড়াগড়ি, দারিদ্র্য ও অভাব দস্যুর মতো হানা দেবে তোমার অন্দরে।
ধম্মপদে, আলস্য ও অতিভোজনের দরুন স্থূলকায় নিদ্রালু হয়ে বিছানায় গড়াগড়ি দেয়া স্বভাবে পরিণত হলে সেই মূর্খের জীবনে দুঃখের পুনরাবৃত্তি ঘটবে!
ভগবদ্গীতায়, ধ্যানযোগে ১৬ এবং ১৭ নম্বর শ্লোক, যিনি নিয়মানুযায়ী আহার করেন, কাজ করেন, বিশ্রাম নেন, যার নিদ্রা ও জাগরণ নিয়মের ছন্দে ছন্দায়িত, তিনি ধ্যানে সফল হন। তার দুঃখের বিনাশ ঘটে। বিচরণ করেন আত্মার আনন্দলোকে।
***************************
ভিজিট ও Subscribe করুন :
Islam, Meditation, Quantum Method : https://www.youtube.com/channel/UCNCWTijBw5LFSVC9e6dcRvg
Meditation for All : https://www.youtube.com/channel/UCpYbd7lNoawdUprDKO1Pqog
Quantum Method [Official] : https://www.youtube.com/user/TheQuantumChannel
Quantum Method [International] : https://www.youtube.com/channel/UCGd3cjl62M9BJUhyxRUaJsQ
মেডিটেশন বিষয়ক বিশ্বের সমৃদ্ধতম ওয়েবসাইট- কোয়ান্টাম মেথড : https://quantummethod.org.bd/
আমাদের সকল কার্যালয়ের ঠিকানা : https://qm.org.bd/findus
মোবাইল নম্বর: +88 01714 974333
ই-মেইল : webmaster@quantummethod.org.bd
*এই ভিডিওতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন ব্যবহারকারীর সার্চ প্রোফাইল, বয়স, লিঙ্গ, অবস্থান ইত্যাদির ভিত্তিতে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্ধারিত। বিজ্ঞাপনে প্রদর্শিত কোনো তথ্যের জন্যে এই চ্যানেলটি দায়বদ্ধ নয়।
#Gurujee #Gurujee'sSpeech #QuantumMethod
#QuantumFoundation #QuantumMeditation
#মহাজাতক