"কাঁচের গায়ে বৃষ্টির ফোঁটা"♥️(গল্পের ২য় অংশ)অস্বাভাবিক ভাবে কেঁদে উঠে নিঝুমের বুকে ঝাপিয়ে পড়ে। নিঝুম
ইরা আঁতকে ওঠে। লুকায়িত অনুভূতি গুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে যেনো। তবুও সে নিশ্চুপ। কোনো মতেই ভেঙে পড়বে না এমন। কিন্তু নিঝুম! সে ও তো নাছোড় বান্দা। যেন পণ করে নিয়েছে সত্যিটা শুনবেই। অবশেষে ইরা মুখ খুলতে বাধ্য হয়। নিজের সমস্ত কাঠিন্যতা নিমেষেই ভেঙে গুড়িয়ে যায় নিঝুমের সম্মুখে। অস্বাভাবিক ভাবে কেঁদে উঠে নিঝুমের বুকে ঝাপিয়ে পড়ে। নিঝুম আঁতকে ওঠে। এ কোন ইরাকে দেখছে সে। বরাবরই ইরাকে বেশ শক্ত সামর্থ্য নারী হিসেবেই দেখে এসেছে সে কিন্তু আজ ইরা এমন কেনো করছে? নিশ্চিত বড় কোনো কারণ আমি। ইরার কান্নার মাত্রাটা এতটাই অস্বাভাবিক যে নিঝুম পাল্টা কোনো প্রশ্নও করতে পারছে না। ধ্যান মে'রে বসে থাকা ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই। হঠাৎই কান্না মিশ্রিত কন্ঠের আকুতি,
-- "আমি আর পারছি না বউমনি। সে কেন আসে আমার সামনে। আমি আর নিজেকে আটকাতে পারছি না। তার এমন হঠাৎ আগমন আমার হৃদয়ে প্রবল ঝড়ের কারণ। আমি ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছি। শত চেষ্টায়ও তাকে আপন করতে পারছি না আবার চিরতরে দুরে ঠেলে দিতেও পারছি না। সে খনে খনে আমায় চরম বিপাকে ফেলছে। এখন কেমন আছে আমার জানা নেই। গতকাল ভাইয়া ভীষণ রেগে গিয়েছিলো। না জানি কী থেকে কী করেছে। জিজ্ঞেস করারও সাহস নেই।"
খুব মনোযোগ দিয়ে ইরার প্রতিটি কথা শুনল নিঝুম। তাতে করে বুঝল ইরা ভীষণ কষ্টে আছে। আচ্ছা সত্যিই তো নিঝুমও তো একবারও এটা ভাবে নি যে কাল ওখানে হলো টা কী। ইহানে