সর্বশ্রেষ্ঠ ১টি তসবিহ্ || সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির || সর্বশ্রেষ্ঠ আমল || সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত ||আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী || Mustakunnabi Kasemi waz || new waz 2025
মহানবী (সা.)-এর কাছে যে জিকির প্রিয় ছিল
জিকির আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম মাধ্যম। জিকিরে প্রশান্তি আসে। জিকিরে জান্নাত সুসজ্জিত হয়। জিকিরে বান্দার আমলনামাকে ভারী করে।
তাই মুমিনের উচিত, জিকিরের মাধ্যমে জিহ্বাকে তাজা রাখা। হাদিস শরিফে যেসব জিকিরের বর্ণনা এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো, ‘সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়াল্লাহু আকবার।’
নিম্নে এই জিকিরের কিছু বিশেষ ফজিলত তুলে ধরা হলো :
আল্লাহর প্রিয় কালাম : সামুরাহ ইবনে জুনদাব (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে বেশি পছন্দনীয় কালাম চারটি। আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর, (এক) আল্লাহ ছাড়া আর উপাস্য নেই এবং আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।
এগুলোর যেকোনো শব্দ দ্বারা তুমি আরম্ভ করো, এতে তোমার কোনো ক্ষতি নেই। (মুসলিম, হাদিস : ৫৪৯৪)
নবীজি (সা.)-এর প্রিয় জিকির : হাদিস শরিফে এই জিকিরকে শ্রেষ্ঠ জিকির আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই আমলটি নবীজি (সা.)-এর দৈনন্দিন আমলের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় আমল ছিল। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল-হামদু লিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ (আল্লাহ অতীব পবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) বলা আমার কাছে যেসব জিনিসের ওপর সূর্য উদিত হয় তা হতে বেশি পছন্দনীয়।
(তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৯৭)
কোরআনের পর শ্রেষ্ঠ জিকির : হাদিসে আছে, কোরআনের পর চারটি সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য আছে, যেগুলো কোরআনেরই বাক্য। তার যেকোনোটি দিয়ে শুরু করাতে তোমার ক্ষতি নেই, সুবহানাল্লাহ, ওয়ালহামদু লিল্লাহ, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার। (মুসনাদে আহমদ)
এই জিকিরে গুনাহ মাফ হয় : আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) একটি শুকনা পাতাওয়ালা গাছের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তাঁর লাঠি দিয়ে তাতে আঘাত করলে হঠাৎ পাতাগুলো ঝরে পড়ে। অতঃপর তিনি বলেন, কোনো বান্দা ‘আলহামদুলিল্লাহ’, ‘সুবহানাল্লাহ’, এবং ‘লাইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ (সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, আল্লাহ তাআলা অতি পবিত্র এবং আল্লাহ তাআলা ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি অতি মহান বললে তা তার গুনাহসমূহ এরূপভাবে ঝরিয়ে দেয় যেভাবে এ গাছের পাতাসমূহ ঝরে পড়েছে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৩৩)
অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, এই জিকির সকালে এক শবার করলে সাগরের ফেনাসম গুনাহ মাফ হয়ে যায়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালের নামাজের পর এক শবার সুবহানাল্লাহ এবং এক শবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে, তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। যদিও তা সমুদ্রের ফেনাসম হয়। (নাসায়ি, হাদিস : ১৩৫৪)
জান্নাতে গাছ রোপণ হয় : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি একটি চারাগাছ রোপণরত অবস্থায় রাসুল (সা.) তার কাছ দিয়ে যেতে জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরায়রা, কী রোপণ করছ? আমি বললাম, আমার একটি চারা রোপণ করছি। তিনি বলেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু রোপণের কথা বলে দেব না, যা তোমার জন্য এর চেয়েও উত্তম? তিনি বলেন, অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বলেন, তুমি বলো, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ (সমস্ত পবিত্রতা আল্লাহর, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর এবং আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহ মহান)। প্রতিবারে বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাতে একটি করে গাছ রোপিত হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮০৭)
মিরাজের রাতে নবীজি (সা.) ইবরাহিম (আ.)-এর সঙ্গে দেখা করলে তিনি নবীজি (সা.)-কে বলেন, তিনি বলেন, হে মুহাম্মদ, আপনার উম্মতকে আমার সালাম পৌঁছে দিন এবং তাদের জানান যে, জান্নাতের জমিন অতীব সুগন্ধিসমৃদ্ধ এবং সেখানকার পানি অত্যন্ত সুস্বাদু। তা একটি সমতল ভূমি এবং তার গাছপালা হলো ‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদু লিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৬২)
জাহান্নাম থেকে বাঁচার ঢাল : আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা তোমাদের ঢাল সংগ্রহ করো। তাঁরা বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোনো শত্রু উপস্থিত হলো কি?’ তিনি বলেন, না। বরং জাহান্নাম থেকে বাঁচার ঢাল। তোমরা সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার বলো। যেহেতু এগুলো কিয়ামতের দিন অগ্রণী হয়ে, আজাব রোধক হয়ে, ক্রমাগতভাবে শুভ-পরিণাম হয়ে উপস্থিত হবে। আর এগুলোই হলো স্থায়ী সৎকর্ম। (শুআবুল ঈমান)
মিজানের পাল্লা ভারী হয় : রাসুল (সা.)-এর পশুরক্ষক আবি সালমা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি শুনেছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, বাঃ! বাঃ! পাঁচটি জিনিস মিজানে কতই না ভারী! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহ ও আলহামদু লিল্লাহ। আর নেক সন্তান, যে মারা গেলে মুসলিম (মা-বাপ) তাতে সওয়াব কামনা করে। ( ইবনে হিব্বান ৮৩৩)
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে জিকিরের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার তাওফিক দান করুন।
#Mufti_Mustakunnabi_Kasemi
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_নতুন_বয়ান
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_সাহেবের_ওয়াজ
#নতুন_ওয়াজ
#বাংলা_ওয়াজ
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#bangla_waz_2023
#বাংলা_ওয়াজ
#allamah
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2023
#২০২৪
#Waz 2024
#new waz 2024
#mustakunnabi2024
#allama_mufti_mustakunnabi_kasemi2024
#২০২৫
#Waz 2025
#new waz 2025
#mustakunnabi2025
#allama_mufti_Mustakunnabi_kasemi2025