হজ্ব ফরজ হওয়ার বর্ননা পবিত্র কোরআন এর বিভিন্ন আয়াতে বিদ্যমান রহিয়াছে। যেমন:-
১। মানুষের উপর আল্লাহর এই অধিকার রহিয়াছে যে যাহারা তাঁহার ঘর (বাইতুল্লাহ্ শরীফ) পর্যন্ত পৌছিবার সামর্থ রাখে তাহারা যেন উহার হজ্ব সমাপন করে। বস্তুত: যাহারা এই নির্দেশ পালন করিতে অস্বীকার করিবে (তাহাদের জানিয়া রাখা উচিত যে) নিশ্চই আল্লাহ্ সমগ্র সৃষ্টিজগতের কাহারও মুখাপেক্ষী নহেন। আয়াত : ৯৭, সূরা আল-ইমরান
২। তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্ব ও উমরা পূর্ন কর। আয়াত : ১৯৬, সূরা বাকারা
৩। নিশ্চয় মানবজাতীর জন্য সর্বপ্রথম যে ঘর প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল তা তো বক্কায় (মক্কা); তা বরকতময় ও বিশ্ব জগতের দিশারী। এতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন রহিয়াছে। যেমন মাকামে ইবরাহীম। আর যে ব্যাক্তি তাতে প্রবেশ করিবে সে নিরাপদ। আয়াত : ৯৬-৯৭ সূরা আল-ইমরান
৪। মানুষের নিকট হজ্ব এর ঘোষনা করিয়া দাও, তাহারা তোমার নিকট আসিবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্র সমূহের পিঠে চড়িয়া তাহারা আসিবে দূর দূরান্তের পথ অতিক্রম করিয়া। আয়াত : ২৭ সূরা হজ্ব
পবিত্র হাদীস এর বানী :
১। হযরত আবু সাঈদ (রা:) হইতে বর্নিত রহিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা:) আমাদের সম্মুখে ভাষন দিতে যাইয়া বলিলেন, আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদের উপর হজ্ব ফরজ করিয়াছেন। সুতরাং তোমরা অবশ্যই হজ্ব পালন করিবে। মুসলিম শরীফ
২। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রা:) রাসূলুল্লাহ্ (সা:) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি বলিয়াছেন, ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। যথা: (১) আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মাবুদ নাই এবং হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল- এই সাক্ষ্য প্রদান, (২) নামায কায়েম করা, (৩) যাকাত প্রদান করা, (৪) বায়তুল্লাহ্ শরীফের হজ্ব পালন করা এবং (৫) রমযানে রোজা পালন করা। বোখারী ও মুসলিম শরীফ
৩। হযরত আবু হোরায়রা (রা:) বর্ননা করেন, রসূলুল্লাহ (সা:) এরশাদ করিয়াছেন, একটি উমরা হজ্ব অপর উমরা হজ্ব পর্যন্ত মধ্যবর্তী সমুদয় গুনাহর জন্য কাফ্ফারা স্বরূপ। আর হজ্বে মাবরুর বা মকবুল হজ্বের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নহে। বুখারী ও মুসলিম শরীফ
hajj talim bangla,hajj talim bangla,Hajj talim