MENU

Fun & Interesting

আতঙ্কিত গল্প শুনুন যা আপনাকে রাতে ঘুমাতে দেবে না!

Black Invention Movies 508 lượt xem 1 month ago
Video Not Working? Fix It Now

গল্পের নাম - রক্তাক্ত গোধূলি।
চরিত্র -
লেখক চন্দ্রশেখর মাইতি।
PARANORMAL INVESTIGATOR সৌমেন চট্টোপাধ্যায়।
বংশী - (সৌমেন দার ভাগ্নে)।
মনী - (সৌমেন দার সৎ বোন)।
গল্প -
প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর চন্দ্রশেখর মাইতি হাই রোডে যায় চা খেতে, কারণ তার প্রিয় বন্ধু Paranormal Investigator সৌমেন চট্টোপাধ্যায় ছুটিতে আসে এইখানে। সেই জন্য এই মুহূর্তে চন্দ্রশেখর মাইতি খুবই ব্যাস্ত। একজন লেখক হওয়ার দরুন সে তার ডায়েরি এবং পেনটি আগে নিয়ে নেয়, তারপর সে বাকি সব কাজ সেরে রওনা দেয় হাইরোডে চায়ের দোকানের দিকে। প্রথমে পেট্রোল পাম্পে ঢুকে তেল ভরিয়ে, তারপর গিয়ে ঢোকে চায়ের দোকানে। চন্দ্রশেখর মাইতি সেখানে গিয়ে দেখে already সৌমেন দা সেখানে উপস্থিত। নানান ধরনের কথাবার্তা হওয়ার পর, বারংবার সৌমেন দার নিস্তবদ্ধতা দেখে চন্দ্রশেখর মাইতি প্রশ্ন করে বসে, কী হয়েছে গো সৌমেন দা, তুমি তো এতো চুপচাপ থাকার লোক নও।
এই কথা চন্দ্রশেখর বলার পর, সৌমেন দা চন্দ্রশেখর এর দিকে তাকায়, সৌমেন দার চোখ গুলো একদম লাল হয়ে উঠেছিল। এবং সৌমেন দা বলে, আমার আর পরিবার বলতে আর কিছু রইল নারে! এই বলার পর তিনি কাঁদতে থাকেন।।
এর পর চন্দ্রশেখর আনেক তাকে আশ্বাস দেয়, এবং তার পর সৌমেন দাকে চন্দ্রশেখর জিজ্ঞেসা করে, কী হয়েছে বলবে এইবারে,
চন্দ্রশেখর তার ডায়েরি পেনটি কে বের করে নেয়, এবং দুই কাপ চা আর দুটো GOLD FLAKE এর-ও অর্ডার দিয়ে দেয়
এরপর সৌমেন চট্টোপাধ্যায় বলা শুরু করলেন -
Last paranormal mission টা কমপ্লিট করে আমি বারি ফিরছিলাম, আমার বারি এইখান থেকে আনেকটাই দূর, আমার এক বোন আছে জানিস তো, সে আমার সৎ বোন, বাবা মারা যাওয়ার পরে তাকে পড়াশোনা থেকে শুরু সে যা কিছু শিখতে চেয়ে ছিল, সব কিছু তাকে শেখাই। যখন বিয়ের বয়স হয় তখন বিয়েও দিই। কিন্তু বোনের স্বামী বোনের উপর খুব অত্যাচার করত এবং বোনের স্বামী ভাবত, আমার সাথে আমার বোনের শারীরিক সম্পর্ক। কিন্তু তাও আমরা এসব নিয়ে ওত কিছু ভাবিনি কারণ আমরা তো জানতাম আমাদের সম্পর্কটা কতটা সুন্দর এবং কতটা ভালো।।
আমার বাড়ি শ্রীরামপুরে, ট্রেন থেকে নেমেই প্রথম কল লাগাই আমার ভাগ্নে বংশীকে। বংশী খুবই excited হয়ে ফোনটি তোলে এবং বলে মামা কোথায় তুমি, সৌমেন দা বলে এইতো just স্টেশন এ নামলাম, এরপর বোন ফোনটি নিয়ে বলে কিরে আসবি কখন, নানান রকমের কথাবার্তা হওয়ার পর বোনের স্বামী কে নিয়ে কথা উঠলে বোন একটু রাগ দেখায় তারপর জিজ্ঞেসা করে কতখনে আসছিস, সৌমেন দা বলে, Mexico থেকে প্রায় এক বছর পর এলাম আমার প্রিয় গোধূলি দেখে তারপর আসছি,
এরপর প্রায় ৭:০০ টার দিকে আমি বাড়ি যাই, বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই একটা যেন আঁশটে গন্ধ আমার নাকের সামনে এসে খেলে, তারপরই আমি দেখি বেসিনের সামনে মাছ কেটে রাখা আছে তাই আমি আর ওতো কিছু ভাবিনা এই ব্যাপারটা নিয়ে। এরপর যখন জিজ্ঞেস করলাম কীরে দাদা কোথায়? তখন বোন বলে ওঠে ওও মনে হয় না আর ফিরবে!
এই কথাটা শোনার পর আমার একটু সন্দেহ হয়, তখন আমি আবার জিজ্ঞেস করি আর ফিরবে না মানে? বোন তখন বলে অনেকটা দূরে গেছে তো তাই মনে হয় না আজ ফিরবে।। এরপর আমি বংশী এর সাথে কিছু সময় কাটাই কারন সে একজন artist।
হঠাৎ ঘরের কারেন্ট চলে যায়, আমি তখন বোনকে জিজ্ঞেস করি, কীরে এরকমো হয় নাকি এইখানে, বোন বলে এমনিও আজ আমার candel light dinner করার ইচ্ছা ছিল। এর পর আমরা dinner complete করি এবং অনেক কথাও বলি। তারপরে আমি বেলকনি তে যাই সিগারেট খেতে, তখনই বংশী এসে আমায় শাসন করতে থাকে এর আমি আমার হাতের জ্বালানো nevicut টা ফেলে দিই তারপরই যেই আমি বংশীর দিকে তাকাই দেখি বংশী নেই বরং তার গলা অন্য ঘর দিয়ে আসছে এবং সে বলছে মামা এদিকে আসো একটা জিনিস দেখানোর আছে। আমি সেইদিকেই যেতে গিয়ে ঘর থেকে বেরোনোর আগে bed এর নীচ থেকে কে যেন আমার পা টেনে ধরে, আমার সেই মুহূর্তে শরীরের থেকে আত্মা আলাদা গিয়েছিল কারন বিছানার নীচে তাকাতেই আমি দেখি আমার বোনের মরাদেহ সেখানে পরে আছে, কিছুখন পর আমি জলের বিন্দু ফোটা পরার শব্দ পাই যা আমাকে আরও ভয় দেখাছিল। এরপর ওই আওয়াজ এর উৎপত্তি লাভ হয় আলমারির ভিতর দিয়ে। খুলতেই দেখি বংশীর কাটা মাথা ওখানে রাখা আছে!
এরপর পিছন দিক দিয়ে শব্দ ভেসে আসে, মামা আলমারি কেন খুলেছ?
ভয় ভয় পিছনের দিকে তাকালে দেখি যে আমার ভাগ্নে এবং বোনের আত্মা সশরীরে আমার সামনে উপস্থিত।। এরপর তারা আমায় বলে, আমাদের থেকে কোনো ভয় নেই কিন্ত তুই যাকে বলিস না শুধরে যাবে আমার স্বামীর ঘটনা কাহিনী শোন।
তুই যখন আমাকে কল করেছিলি তখন তোর সাথে আমার যা কথা হয় সব সে শোনে।কল কাটার পর আমাকে বলে,
কী তোমার দাদা আসছে নাকি?
আমি বলি হ্যা,
তখন আমাকে বলে জানা আছে তোর কেমন দাদা,
আমি এসব কথা সহ্য না করতে পেরে এক থাপ্পড় মারি তার গালে, এরপর রাগে সে mobile charger cable দিয়ে আমার গলায় ফাঁস দিয়ে প্রথমে আমায় মারে
তরপর বংশী কিছু বলতে যাওয়ায় বংশীকেও দা দিয়ে কুপিয়ে তার মাথা আলাদা করে দেয়।
আমার গলায় যখন ফাঁস দিয়ে ধরেছিল না আমি তখন শুধু ভাবছিলাম কতখনে তুই আসবি আর knocking bell বাজিয়ে বলবি কীরে মনি দরজা খুলবি না। কিন্তু তুই তখন গোধূলি দেখতে ব্যাস্ত ছিলি আর আমাদের জন্য সেই গোধূলি হয়ে উঠল রক্তাক্ত গোধূলি।।
.
Writer / vocal / Editor - Mrid chowdhury
@TM.studio527 presents
Main channel - @Toxic_mrid

Comment