বুদ্ধের পিসতুতো ভাই স্থুল তিষ্য ভান্তের কথা Buddho pejenga ot vei
⛔Warning on video reposting; Re-uploading of videos published on our Buddhor Hoda channel on YouTube is not allowed. If you want to upload to another website, then definitely give us Creadit. For monetization please contact us and take permission. Otherwise we can strike or complain. thank you
⛔ভিডিও পুনঃপ্রকাশে সতর্কতা; আমাদের Buddhor Hoda চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওগুলো ইউটিউবে পুনরাশ আপলোডের অনুমতি নেই। যদি অন্য ওয়েবসাইটে আপলোড করতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের Creadit দিবেন। মনিটাইজেশনের জন্য হলে আমাদের সাথে Contact করে অনুমতি নিবেন। অন্যথায় আমরা স্ট্রাইক বা অভিযোগ দিতে পারি। ধন্যবাদ
‘আমাকে আক্রোশ করিয়াছে’ এই ধর্মদেশনা শাস্তা জেতবনে অবস্থানকালীন তিষ্য স্থবিরের কথাপ্রসঙ্গে বলিয়াছেন।’
১. আয়ুষ্মান স্থূলতিষ্য স্থবির ভগবানের পিসতুত ভাই। তিনি বৃদ্ধ বয়সে প্রব্রজিত হইয়াছিলেন। বুদ্ধ ও তাঁহার শ্রাবকগণের পুণ্য প্রভাবে উৎপন্ন লাভ-সৎকার পরিভোগ করিয়া করিয়া তিনি স্থূল হইয়াছিলেন। তিনি পিটিয়া পিটিয়া সুন্দরভাবে রং করা চীবর পরিধান করিয়া প্রায়ই বিহার মধ্যস্থ উপস্থানশালায় বসিয়া থাকিতেন।
২. তথাগতকে দর্শন করিবার জন্য আগত আগন্তুক ভিক্ষুরা, ‘ইনি একজন মহাস্থবির হইবেন’ এই ভাবিয়া তাঁহার নিকট উপস্থিত হইতেন এবং তাঁহার প্রতি উহাদের কোন করণীয় আছে কি না, তাঁহার পাদমর্দনাদি করিতে হইবে কি না, জিজ্ঞাসা করিতেন। তিনি চুপ করিয়া থাকিতেন। অনন্তর একদিন এক যুবক ভিক্ষু তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘আপনার [ভিক্ষু জীবনের] কত বর্ষ?’ তিনি কহিলেন, ‘বর্ষ হয় নাই, বৃদ্ধ বয়সে প্রব্রজ্যা নিয়াছি।’ অপর ভিক্ষু বলিলেন, ‘আবুস দুর্বিনীত বৃদ্ধ, নিজের প্রমাণ জান না! এতগুলি মহাস্থবিরকে দেখিয়া সৌজন্য মাত্র প্রকাশ কর না, করণীয় ব্রত জিজ্ঞাসা করিলে চুপ করিয়া থাক, সঙ্কোচ মাত্রও তোমার নেই!’ এই বলিয়া তিনি তুড়ি দিলেন। তিষ্য ক্ষত্রিয়াভিমানে অভিমান করিয়া কহিলেন, ‘আপনারা কাহার নিকট আসিয়াছেন?’ তাঁহারা বলিলেন, ‘শাস্তার নিকট।’ তিনি বলিলেন, ‘আমাকে কে বলিয়া মনে করেন? আপনাদের মূলোচ্ছেদ করিয়া তবে ছাড়িব।’ এই বলিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে দুঃখী দুর্মন হইয়া শাস্তার নিকট গমন করিলেন।
৩. অতঃপর শাস্তা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, কি হে তিষ্য, তুমি দুঃখী, দুর্মনা ও অশ্রুমুখ হইয়া কাঁদিতে কাঁদিতে আসিতেছ যে?’ সেই ভিক্ষুরাও ‘ইনি যাইয়া কিছু গোলমাল করিতে পারেন’ এই ভাবিয়া তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে গিয়া শাস্তাকে বন্দনাপূর্বক একপার্শ্বে উপবেশন করিলেন। ভগবান জিজ্ঞাসা করিলে তিষ্য স্থবির কহিলেন, ‘ভন্তে, এই ভিক্ষুরা আমাকে তিরস্কার করিয়াছেন।’
‘তুমি কোথায় বসিয়াছিলে?’
‘বিহারে উপস্থানশালায় ভন্তে!’
‘তুমি এই ভিক্ষুদের আসিতে দেখিয়াছিলে?’
‘হাঁ ভন্তে, দেখিয়াছিলাম।’
‘তুমি উঠিয়া ওদের আগুবাড়াইয়া আনিয়াছিলে কি?’
‘তাহা করি নাই, ভন্তে!’
‘তাহাদের পাত্র-চীবর নিতে চাহিয়াছিলে?’
‘চাহি নাই, ভন্তে!’
‘বসিতে আসন দিয়া পাদমর্দন করিয়াছ?’
‘না ভন্তে, করি নাই।’
‘তিষ্য, বয়োবৃদ্ধ ভিক্ষুদের এ সকল ব্রত করা উচিত। এই সব যে না করে, তার পক্ষে বিহারের মধ্যে উপবেশন করা উচিত নহে, তোমারই দোষ, এই ভিক্ষুদের নিকট ক্ষমা চাও।’
‘ওরাই আমাকে আক্রোশ করিয়াছিলেন, আমি ওদের কাছে ক্ষমা চাহিব না।’
‘হে তিষ্য, এমন করিও না, তোমারই দোষ, ক্ষমা চাও।’
‘না ভন্তে, আমি ক্ষমা চাহিব না।’
৪. ভিক্ষুগণ কহিলেন, ‘প্রভু, এই ভিক্ষু বড় দুর্বচ।’ ভিক্ষুরা এই কথা বলিলে শাস্তা কহিলেন, ‘ভিক্ষুগণ সে যে কেবল এখন দুর্বচ তাহা নয়, পূর্বেও দুর্বচ ছিল।’ ভিক্ষুগণ কহিলেন, ‘প্রভু, ওর বর্তমান দুর্বচতা আমরা জানিলাম, অতীতে সে কি করিয়াছিল?’ ভগবান কহিলেন, ‘তবে ভিক্ষুগণ, শুন।’ এই বলিয়া পূর্ব বৃত্তান্ত বলিলেন........