#তোতাপাখি️ ❤️হৃদয় ছোঁয়া একটি গল্প❤️১ম অংশ #গল্প#Heart Touching story #Bangla short story
#নামিহা মেহরূজ নিশি
শীতকালীন গোধূলি। পরিবেশে হিমশীতল সমীরণ। ততটাও শীত এখনো নামেনি যতটা এই নভেম্বরের শেষটায় নামার কথা ছিল।
সারাদিন যেন-তেন করে কেটে গিয়ে বিকেলের পর থেকে মাঝারি আঁচে শীত নামে। সেই নবীন নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতিকে আলিঙ্গন করে ঘুঙুর বেড়িয়েছে বাবার সঙ্গে গ্রামের পথে।
উদ্দেশ্য কাছেই একখানা জম্পেশ মেলা বসেছে। চুড়ি, ফিতা কিনবে খুব করে। এমনিতেই বাবার আহ্লাদী কন্যা সে। বাবা অন্ত প্রাণ।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে মা নলিনা বেগম হাতে শাল গুজে দিয়ে বলেছিলেন,'ফিরতে রাত হয়ে গেলে গায়ে জড়িয়ে নিস।' ঘুঙুর বাধ্য মেয়ের মতো মায়ের আদেশ পালন করেছে।
আপাততঃ সেটাকে হাতের ভাঁজে নিয়ে বাবার সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলছে। তার বদন জুড়ে ততোধিক উৎফুল্লতা। আমির সাহেব মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেও মুচকি হাসলেন। জিজ্ঞেস করলেন,
"মা ভালো লাগছে?"
ঘুঙুর বাবার প্রশ্নে দ্বিগুণ আনন্দ প্রকাশ করে বলল,
"ভীষণণণ....।"
অতঃপর বাবা,মেয়ের পদচারণা পুনরায় চলতে থাকে। খুব দ্রুতই গ্রামের পথান্তর পেড়িয়ে তারা পৌঁছে গেল বিশাল মার্কেট প্লেসে।
এখান থেকেই দক্ষিণ দিকে এগিয়ে মেলা বসেছে। এটা শীতকালীন মেলা বলা চলে। প্রত্যেক বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে যখন তখন এভাবেই মেলা বসে।
শহর থেকে ইউনিক সব ডিজাইনিং ড্রেস, অর্নামেন্টস থেকে শুরু করে হাঁড়ি পাতিল অব্দি থাকে। ঘুঙুর বাবার দিকে চেয়ে মুচকি হাসল।
তার সেই হাসিতে জানান দিল প্রত্যাশিত মুহূর্ত এগিয়ে আসার আনন্দ। পথিমধ্যে শপিং এর কোলাহল ব্যতিত আরও কিছু উচ্চবাচ্য ভেসে এলো ঘুঙুরের কর্ণে। মাইকের আওয়াজ।
ভাষণ চলছে বোধহয়। ঘুঙুর কৌতুহলী হয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করল,