সম্পূর্ণ ভিডিও: https://www.youtube.com/watch?v=0g4whfx306E
========================
প্রতিনিয়তই মানুষ টের পাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। চিরচেনা পৃথিবীর ঋতুবৈচিত্র্যে গ্রীষ্ম যেমন হয়ে উঠছে নিদারুণ উত্তাপের, বর্ষায়ও ঠিক মিলছে না কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। আবার অসময়ের ভারী বৃষ্টিতে দুরূহ হয়ে উঠছে বানবাসী মানুষের জীবন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবী আক্রান্ত হচ্ছে সাইক্লোন, বন্যা, খরা অথবা লবণাক্ততার মতো নানা দুর্যোগে। এ দুর্যোগের অন্যতম নিয়ামক গ্রিনহাউস গ্যাস।
গ্রিনহাউস গ্যাস তাপ ধরে রাখার কারণে পৃথিবীতে আসা সূর্যরশ্মি যে তাপ উৎপন্ন করে তা পৃথিবীর বাইরে যেতে পারে না। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এই সমস্যা প্রতিরোধ করতেই কৃষিতে এক বৈপ্লবিক সংযোজন হতে পারে বায়োচার প্রযুক্তি। যেটি মাটির গুণগত মান ঠিক রেখে কৃষি কাজে ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে পৃথিবীর তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখতে পারে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম মিয়ার নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী কাজ করছে বায়োচার নিয়ে।
অধ্যাপক শামীম মিয়া দীর্ঘদিন ধরেই বায়োচার নিয়ে গবেষণা করছেন। নেদারল্যান্ডসের ভাগিনিংগেন ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করার সময় থেকে বায়োচার নিয়ে গবেষণার কাজে যুক্ত তিনি।
মাস ছয়েক আগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োচার নিয়ে তাদের গবেষণা কার্যক্রম দেখার সুযোগ হয়েছিলো।
সে সময় কৃষিতত্ত্ব বিভাগের ল্যাবরেটরিতে চলছিলো বায়োচার নিয়ে বহুমুখী গবেষণা। অধ্যাপক শামীম বায়োচার বিষয়টি খুব সহজভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলেন। তিনি বললেন, 'গ্রীনহাউস গ্যাসের অন্যতম উপাদান কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস। এক সময় ধারণা করা হতো বেশি গাছ লাগালে গাছ বায়ু থেকে কার্বন গ্রহণ করার ফলে বাতাসে কার্বণের পরিমাণ কমে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, গাছ বায়ুমণ্ডল থেকে যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে একটা নির্দিষ্ট সময় পর তার সমপরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয়। অর্থাৎ শুধু গাছ লাগানোর মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সমাধান সম্ভব নয়। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ গবেষণায় বিকল্প একটি প্রস্তাব করা হয়। এতে বলা হয়, গাছের মধ্যে থাকা বায়ুমণ্ডলের কার্বনকে পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত করে মাটিতে প্রয়োগ করা। পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত এই কার্বনকে বলা হয় বায়োচার।
অর্থাৎ, বায়োচার হলো বিভিন্ন জৈব পদার্থ যেমন কাঠ, কাঠের গুঁড়া, জৈব আবর্জনা ইত্যাদিকে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে তাপ প্রয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত এক ধরনের কয়লা। অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে তাপ প্রয়োগের ফলে জৈব পদার্থ গুলো সরল অ্যারোমেটিক বেনজিনযুক্ত জৈব যৌগে পরিণত হয়। যেহেতু মাটির অণুজীবগুলো অ্যারোমেটিক বেনজিনযুক্ত জৈবযৌগ গুলোকে সহজে ভাঙতে পারে না, তাই বায়োচার মাটিতে প্রয়োগ করলে এটি দীর্ঘ সময় প্রায় ১০০ বছর থেকে ১০০০ বছর পর্যন্ত মাটিতে থেকে যায়।
Facebook: https://facebook.com/shykhseraj
YouTube: https://www.youtube.com/shykhseraj
Twitter: https://www.twitter.com/shykhseraj
Instagram: https://instagram.com/shykhseraj
Linkedin: https://linkedin.com/in/shykhseraj
#SSERAJ
Shykh Seraj, Shaikh Siraj, shaik siraj, sayek siraj, sheikh siraj, Saik Siraj, Hridoye Mati O Manush, mati o manush, shaikh siraj, হৃদয়ে মাটি ও মানুষ, channel I, চ্যানেল আই, বাংলাদেশের কৃষি, channel i, biochar, biochar making, biochar production, biochar compost, বায়োচার কী, বায়োচার, বায়োমাস কী, বায়োমাস, biochar application, soil, carbon storage, future farming, কার্বন নিঃসরণ, regenerative farming, রিজেনারেটিভ কৃষি, পুনরুৎপাদনশীল কৃষি, organic, sustainable, জৈব, টেকসই কৃষি