নবাব আলীবর্দী খানের জীবদ্দশায় আদরের নাতি সিরাজের জন্য হীরাঝিল প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়েছিলো। এই প্রাসাদ এতো বিশাল ছিলো যে, তিনজন ইউরোপীয় রাজার বসবাসযোগ্য ছিল। হীরাঝিল প্রাসাদ তৈরির জন্য সিরাজ নবাব হওয়ার অনেক আগে থেকেই গৌড় হতে পাথর এনেছিলেন। এই প্রাসাদের পাশে একটি নান্দনিক ঝিল তৈরি করা হয়েছিলো। দিনের বেলা ও জ্যোস্না রাতে ঝিলের জলে প্রাসাদের প্রতিবিম্ব প্রতিফলিত হয়ে এক অপরূপ সৌন্দর্য বিস্তার লাভ করতো। হীরাঝিল প্রাসাদকে মনসুরগঞ্জ প্রাসাদও বলা হয়ে থাকে। ঐ প্রাসাদের উত্তর দিকে ছিল নবাব সিরাজ-উ-দৌলার দরবার কক্ষ ও মসনদ।
এই হীরাঝিল প্রাসাদ থেকেই নবাব সিরাজ-উ-দৌলা পলাশীর প্রন্তরে রওনা দিয়েছিলেন এবং যুদ্ধে পরাজয়ের পর স্ত্রী লুৎফা ও শিশু কন্যাকে নিয়ে শেষবারের মতো হীরাঝিল প্রাসাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন। নবাব সিরাজ-উ-দৌলাকে হত্যার পরে সর্বস্ব লুটপাটের পাশাপাশি প্রাসাদটি ইংরেজরা ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয়। জানা যায়, এই সুরম্য প্রাসাদ ধ্বংস করার জন্য নাকি নদী কেটে প্রাসাদের দিকে গতিপথ সরিয়ে আনা হয়েছিলো সেই সময়ে।
সেই প্রাসাদের সবকিছু আজ বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভাগীরথী নদীর ভাঙনে।
#হীরাঝিল_প্রাসাদ #hirajheel_palace #murshidabad