রিয়া প্রতি বারের মত এবার ও শূন্য হাতেই বাড়ি ফিরলো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় অনেক আসা নিয়ে যায়...
আমি তোমাদের উপর অভিমান করে দূরে সরে গিয়েছিলাম। কিন্তু তোমরা উল্টো অভিমান করে আমাকে একা রেখে চলে গেলে।, তোমরা জানতে না তোমরা ছাড়া আমার আর কেউ নেই, এত বড় শাস্তি কেনো দিলে তোমরা
কথা গুলো বলে কান্নায় ভেঙে পড়ে আদিল হাত দিয়ে তাদের মুখের উপর কাপড়টা সরাবে ঠিক সে সময় তানিয়া হাতটা ধরে বলে উঠে
: খবরদার তদের মুখ দেখার অধিকার আপনার নেই আর এখন আদিক্ষ্যতা না দেখালে ও চলবে
: আমার মা বাবা মারা গেছে আর তুমি বলছ আমি আদিক্ষ্যতা করছি
: তা নয়তো কি আর কোন মুখে তাদের নিজের মা বাব বলে দাবি করছেন এই ৫ টা বছরে এক বার খবর নিয়েছিলে। এদের একটা ফোন করেছিলে তাদের। এই মানুষ গুলো কি মরে গেছে, নাকি বেঁচে আছে, একবার খবর নেওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না।তখন কোথায় ছিলো আপনার এই দরদ, আর আজকে যখন মারা গেলো, তখন আপনি দৌড়ে আসলেন।
কথাটি বলে তানিয়া হাতটা ছেড়ে দিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগলো
তানিয়ার কথায় সহমত প্রকাশ করলো পারভীন বেগমের ভাই। রিয়া এক পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলছে, শত হোক এই মানুষ গুলার সাথে এক ছাঁদে নিচে ৮ বছর ছিলো। রিয়া এই সবের জন্য নিজেকে অপরাধী করতে লাগলো সে মনে মনে বলে
: সব কিছু আমার জন্য হয়েছে আজ আমার জন্য একটা পরিবার নষ্ট হয়ে গেছে আমি সত্যি একটা অপয়া