"জীবনে মরণে" ♥️ অসাধারণ একটি গল্প || সকল পর্ব একসাথে দেওয়া হয়েছে || আজ একটা ভুলের জন্য ধর্ষিতা হতে.
প্লিজ ক্ষমা করে দাও আমাকে। আমি মানছি আমি ভুল করেছি কিন্তু তার জন্য এতো বড় শাস্তি দিও না সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না।
ফারহান ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো পায়ের কাছে থেকে একটু জোরেই লেগেছে যার জন্য রোজা একটু দূরে খাটে গিয়ে বাড়ি খায়।
-ক্ষমা করবো তাও তোকে ইম্পসিবল। তোর জন্য আজ আমি সবার কাছে খারাপ সবাই আমাকে দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয়। যে মা আমাকে এক মুহূর্তে না দেখে থাকতে পারতো না আজ সে আমার মুখ দেখতে চায় না। তোর জন্য ভার্সিটিতে থেকে আমাকে বের করে দিয়েছে। কি বলেছিলি আমার তোর লজ্জা হরণ করছে তাই আজও সেই মিথ্যে কথা সত্যি করে দেবো।
বলেই ফারহান রোজাকে টেনে তুলে দাড় করায় রোজার ছোটার জন্য ছটফট করছে। ফারহান সেদিকে লক্ষ না করে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়। চোখে তার প্রতিশোধের নেশা। যা দেখে রোজার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়।
ভয়ে রোজার হাত পা কাপছে নিজেকে শূন্য মনে হচ্ছে আজ কি সত্যি সে ধর্ষিতা হয়ে যাবে যা নিছকি মজার ছলে বলে ছিলো। আজ তা সত্যি হতে চলছে। চোখ দিয়ে পানি পরেছে। ও জানেই না ফারহানের সাথে এতো কিছু হয়েছে সামান্য একটা কথা বলার জন্য ও তো জাস্ট মজা করার জন্য এসব বলেছিল। আর সেই মজার জন্য যে কারো এয় বড় ক্ষতি হয়ে যাবে ভাবতে ও পারে নি। এই এক সপ্তাহে নানু বাড়ি ছিলো রোজা তাই ভার্সিটিতে কি হয়েছে ও জানে না। আজ ভার্সিটিতে পহেলা বৈশাখীর অনুষ্ঠান ছিলো তাই শাড়ি পরে এসেছিল কিন্তু ভার্সিটিতে যেতে পারে নি তার আগেই কেউ ধরে নিয়ে আসে সে আর কেউ না ফারহান।
- ফারহান আমার এতো বড় সর্বনাশ করো না, আমি তোমার পায়ে পরছি। আমি জানতাম না আমার ছোট মিথ্যা বলায় তোমার এতো বড় ক্ষতি হবে বিলিভ মি প্লিজ।
- হা হা হা হাসালে তুমি জানো না,আমাকে বলবে আর আমি বিলিভ করবো তোমার মতো মেয়েদের আমার জানা আছে। সব কিছু করে এখন না জানার ভান করছো?
- প্লিজ বিলিভ করো আমি
রোজাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে ফারহান ওর উপর শুয়ে পরে রোজা কি করবে বুঝতে পারছে না। কি করে ফারহান কে থামাবে।
ফারহান রোজার হাত নিজের হাত দিয়ে খাটে চেপে রোজা আহ করে উঠে একটু জোরে চেপে ধরেছে।
-প্লিজ
ফারহান ঠোটে আঙুল দিয়ে থামিয়ে দেয়। রোজা ভেবেই নিয়েছে ওর সাথে আজ খারাপ কিছু হবেই ও চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো। এখানে থেকে আর বাড়ি ফিরে যাবো না নিজেকে শেষ করে দেবো।নিজের দোষে আজ এ দিনটা দেখতে হচ্ছে। অনেক ক্ষণ ধরে চোখ বন্ধ করে আছে রোজা কিন্তু ফারহানের কোন টাচ এখনো শরীরে পরে নি বরং সরে গেছে মনে হলো হাত ও আলগা।সঙ্গে সঙ্গে চোখ মেলে তাকায় রোজা দেখে ফারহান খাটের কিনারে মাথা নিচু করে বসে আছে। রোজা কিছু বুঝতে পারছে না ফারহান চাইছে টা কি?
- এভাবে আমার দিকে না তাকিয়ে দেখে চলে যা আমার সামনে থেকে গো নাউ?
রোজা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে কি বলেছে। চলে যেতে আমি কি ঠিক শুনলাম।
- উঠে দাড়িয়ে গেলাম,আমি সত্যি যাবো তুমি
-কেন তুই কি র্ধষণ হতে চাস নাকি।
-নাহ কিন্তু
-যা বলছি এই মুহূর্তে যদি না যাস তাহলে যা করি নি তা কিন্তু করে দেবো। আমি মেয়েদের যথেষ্ট সম্মান করি তাই তোকে ছেড়ে দিলাম কিন্তু কোন দিন আমার সামনে আসিস না। তাহলে আমি এই কাজ টা করেই ফেলবো তোর জন্য আমার জীবন তছনছ হয়ে গেছে। আমি তোকে জাস্ট ভয় দেখানোর জন্য এতো কিছু করেছি। কি হলো এখন ও দাঁড়িয়ে আছিস কেন যা?
রোজা আর কিছু না বশে জটপট শাড়ি নিয়ে বাথরুমে চলে যায় কোন রকম পরে দরজা খুলে বেরিয়ে যায়।
বাড়িতে এসেই কারো সাথে কোন কথা না বলে রুমে চলে যায় রোজা। এখনো ও ভয়ে আত্মা কাপছে রোজা কি ভয়ংকর কিছু ঘটতে যাচ্ছি লো কিন্তু আল্লাহ বাচিয়ে দিয়েছে।
রাতে শুয়ে আছে খাটে রোজা বারবার ফারহানে কথা মনে পরছে। রোজা ওর ফ্রেন্ড আনিশাকে কল করে জেনেছে যে ফারহানকে ভার্সিটি থেকে বের করে দিয়েছে আর সব ওর জন্য তখন থেকেই খারাপ লাগছে আমার এই এই মিথ্যা বলায় ফারহানের এতো বড় ক্ষতি হবে জানলে কখনো বলতাম না। সাথে ফারহানের জন্য শ্রদ্ধা ও আসছে ও চাইলেই আমার সাথে অনেক কিছু করতে পারতো কিন্তু ও এভাবে কিছু করে নি। ভয় দেখানোল জন্য এতো কিছু করেছে এতো ভালো ও আর আমার জন্য কিনা সবার কাছে খারাপ হলো।