চৈতি কে দুই হাতের বাঁধনে আগলে নেয় বুকের ভেতর। মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,"কান্না করছো কেন বোকা মেয়ে?
প্রহন চৈতির চুল মুছতে মুছতে গম্ভীর কণ্ঠে বললো,"তোমার ভেজা চুল মুছার কামলা নাকি আমি? বেতন কত দাও মাসে?"
চৈতি শরবতের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে বললো,"মাসে নাই টাকার বেতন।"
প্রহন চৈতির চুল মুছচে এবং খুব তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চৈতির শরবত খাওয়া দেখছে, হঠাৎ চৈতির চুলে টান মারতেই ব্যাথায় আহ করে উঠলো চৈতি।
প্রহন দাঁতে দাঁত চেপে বললো,"তোমাকে শরবত খেতে দিয়েছি,চা খেতে না। এখন যদি তিন ঢোকে শরবত না গিলছো তাহলে তোমার মাথার একটা চুল ও থাকবে না কিন্তু।"
প্রহন কথা গুলো শুনে চোখ মুখ খিঁচে শরবত গুলো শেষ করলো চৈতি। প্রহনের কাছ থেকে সরে এসে বললো,"দিন দিন বেশি বকা দিচ্ছেন আমাকে, খুব বেড়ে গেছেন, আব্বু সুস্থ হয়ে নিক তারপর আপনার নামে নালিশ করবো।"
চৈতির কথা শুনে হাসলো প্রহন, মুচকি হেসেই বললো,"আচ্ছা যত খুশি নালিশ করো,এখন একটু খাবার বেড়ে এখানে নিয়ে চলে আসো। আমি গোসল টা করে নি।"
চৈতি যাওয়ার জন্য পা বাড়ালে পেছন থেকে প্রহন আবারো ডাক দিয়ে বললো,"শুনো..."
চৈতি পেছনে ফিরে তাকায়, প্রহন মুচকি হেসে বললো,"এক প্লেটে নিয়ে এসো।"
চৈতি মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে চলে গেল, প্রহন ও গোসল করার জন্য কাপড় নিয়ে বাথরুমে চলে গেল। হসপিটালের ভ্যাপসা একটা গন্ধ জেনো গায়ে লেগে আছে এখনো, সাথে জৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরম ফ্রী।
এই গরমে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল মানেই শান্তি।